কিন্তু সমস্যা হলো, কিছু কিছু দোকান এমন আছে, যেগুলোতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয় না। যা ইসলামী সংস্কৃতির পরিপন্থি। এমনকি খাওয়ার আদবেরও পরিপন্থি। বিশ্বনবী (সা.) তাঁর উম্মতদের দাঁড়িয়ে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) কোনো লোককে দণ্ডায়মান হয়ে পান করতে বারণ করেছেন। কাতাদাহ বলেন, আমরা বললাম, তবে খাবারের ব্যাপারে (আদেশ কি)? তিনি বলেন, সেটা তো আরো নিকৃষ্ট, আরো জঘন্য।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫১৭০)
দাঁড়িয়ে পানাহারের মাধ্যমে শুধু খাবারের আদব লঙ্ঘন হয় না, বরং এতে মানুষের শারীরিক অনেক ক্ষতি হয়। তাই হয়ত মহানবী (সা.) দাঁড়িয়ে পানাহারকে ভীষণ অপছন্দ করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন কখনো দাঁড়িয়ে পান না করে। কেউ ভুলে পান করলে সে যেন পরে বমি করে ফেলে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫১৭৪)
দাঁড়িয়ে পান করার অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এতে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, জি ই আর ডি-তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, অ্যাংজাইটি লেভেল বেড়ে যায়, পানি পান করলেও তষ্টো থেকেই যায়, কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়, অ্যাসিড লেভেলে তারতম্য দেখা দেয়, আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপার হলো, দাঁড়িয়ে পানাহার করলে, সেই খাবারে ইবলিস শয়তান এসে যোগ দেয়। যার যে অত্যন্ত নিকৃষ্ট। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রসুল (সা.) এক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে পান করতে দেখে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি পছন্দ কর যে তোমার সঙ্গে বিড়াল একসঙ্গে পান করুক, উত্তর লোকটি বলল না, রাসুল (সা.) বলেন, তোমার সঙ্গে তার চেয়ে নিকৃষ্ট কেউ পান করেছে, আর সে হলো শয়তান। (মুসনদে আহমদ) নাউজুবিল্লাহ, তাই আমাদের উচিত দাঁড়িয়ে পানাহার করা থেকে বিরত থাকা। শুধুমাত্র জমজমের পানির বিধান ভিন্ন। কারণ কোনো বিজ্ঞ আলেমের মতে জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা মুস্তাহাব। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সা.)-কে জমজম থেকে পানি পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়িয়ে তা পান করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ৫১৭৫)