প্রকাশ: ২ জুন, ২০২২ ৫:৪৪ : পূর্বাহ্ণ
ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাষ্ট্র গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বাস করেন অন্তত দুই লাখ মুসলিম। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলেও সত্য যে, শহরটিতে মুসলিমদের আনুষ্ঠানিক কোনো কবরস্থান নেই।
কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাকে দাফন করতে সীমাহীন বিড়ম্বনা পোহাতে হয় সেখানকার মুসলিমদের।
গ্রিস ইসলামি সংস্থা জানায়, এখানে মুসলিমদের জীবন-মরণ উভয়টিই অস্বস্তিকর। কোনো মুসলিম মারা গেলে নিজেদের মাটিতে তাদের দাফন করা নিষিদ্ধ।
তুর্কি সম্প্রচার-মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়, কবরস্থান যেখানে রয়েছে, সেখানে পৌঁছতে দীর্ঘ সময় ও পথ পাড়ি দিতে হয়। এখানে বসবাসরত ২ লাখ মুসলিমের জন্য যা অত্যন্ত কষ্টের। কিন্তু তারা আর কী করবে! মৃতকে তো দাফন করতেই হবে?
গ্রিস ইসলামি সংস্থাটি আরও জানায়, মৃতকে দাফনে অন্তত ৭৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কবরস্থানে যেতে হয় এথেন্সের মুসলিমদের।
গ্রিস রাজধানীতে কবরস্থান নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণেই মূলত এই বিড়ম্বনা। তারা কমুতিনি শহরে মৃতদের দাফন করেন।
শুধু এথেন্সেই যে বিষয়টি এমন ব্যাপারটি একেবারেই তা নয়; বরং গ্রীসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থ্যাসালোনিকিতেও মুসলিমদের একইরকম অবস্থা।
সেখানেও কবরস্থান বানানোর অনুমতি নেই মুসলিমদের। তাদেরকেও মৃতদের দাফনে শহরের বাইরে অনেক দূর যেতে হয়।
মুসলিমদের প্রতি গ্রিস সরকারের এই আচরণের কারণ- তাদের ওপর রাজনৈতিক সংকীর্ণতা তৈরি করা। একই কারণে মুসলিমদের মসজিদ নির্মাণেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। থ্যাসালোনিকিতে বেশ কাঠখড় পোড়ানোর পর মাত্র একটি মসজিদ নির্মাণ করতে পেরেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।