প্রকাশ: ৯ এপ্রিল, ২০২২ ৮:৩০ : পূর্বাহ্ণ
মিষ্টি কুমড়া আমাদের দেশে বেশ পরিচিত একটি সবজি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, আবার খেতেও খুব সুস্বাদু। বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় এই সবজি। মিষ্টি কুমড়া কাঁচা এবং পাকা দুই ভাবেই খাওয়া হয়। ভাজা, ভর্তা, ঝোল রান্না, সুস্বাদু হালুয়া ইত্যাদি উপায়ে খাওয়া যায় এটি। সবজিটির বিভিন্ন স্বাস্থ্যোপকারিতা রয়েছে।
প্রাকৃতিক এই সবজিটি ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, কপার ও ফসফরাসসহ অন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের ধারক। এতে বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে থাকে। এবার তাহলে মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
খাদ্য হজমে সহায়ক: ফাইবারজাতীয় হওয়ায় মিষ্টি কুমড়া সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এটি। এছাড়া ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই সবজি।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: মিষ্টি কুমড়া ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি মানুষের ত্বক ও চুল ভালো রাখে। এ জন্য চকচকে চুল ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন। নিয়মিত এই সবজি খাওয়ার ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধও হবে। এছাড়া এই সবজিতে থাকা জিংক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওজন কমায়: মিষ্টি কুমড়া কম ক্যালোরি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে কার্যকরী খাবার। যারা অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে চান তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া উপকারী খাবার। তারা নিয়মিত খেতে পারেন এই সবজি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: বর্তমান সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি। আর জরুরি এই কাজে মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্মিডেন্ট ভিটামিন ই মানবদেহকে ক্যানসার ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আর এতে থাকা ভিটামিন সি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।