প্রকাশ: ২০ মে, ২০২২ ১০:২২ : পূর্বাহ্ণ
সিলেটে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে আছেন বানভাসি মানুষেরা। ঘরে-বাইরে সবখানেই থৈ থৈ করছে বন্যার পানি। ঘরের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেননি অনেকে। পাননি কোনো ধরনের ত্রাণও। বিশেষ করে শুরুর দিকে বন্যা আক্রান্তরা আছেন নিদারুণ কষ্টে।
এ বছর প্রকৃতি মানেনি আগের নিয়ম। ফলে সিলেটের লোভাছড়া নদী বেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি আর সুরমা নদীর বহমানতার সংঘর্ষে সৃষ্টি হয় আগাম বন্যার। প্রায় পুরো সিলেট জেলাই এখন বন্যা আক্রান্ত। চারিদিকেই টইটুম্বুর পাহাড়ি ঢলের ঘোলা পানিতে।
সিলেটের যেসব উপজেলায় দুর্ভোগের শুরু তার অন্যতম কানাইঘাট। উপজেলার ১ নম্বর ইউনিয়নের মেছা গ্রামে ছয়দিন ধরেই ডুবে আছে যাতায়াতের সহজ পথগুলো। তবে সাময়িক স্বস্তি অন্তত ঘর থেকে নেমে গেছে পানি।
তবে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় ভেসে গেছে বসতভিটার অনেকাংশই। ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে না পারা বাসিন্দাদের অভিযোগ, ত্রাণ আসেনি এখানে।
জেলায় পানিবন্দী অন্তত ১০ লাখ মানুষ। বাড়ছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির মাত্রা যেন আরও বেড়েছে। আর এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ রাখা হয়েছে পাঠদান।
যদিও কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির দাবি, সব ধরনের সহযোগিতা পৌঁছে দেয়া হয়েছে দুর্গত এলাকায়।
এদিকে গতকাল বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরেই বানভাসিদের দেখতে যান সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তবে নগরবাসীর জন্য দিতে পারেননি কোনো সুখবর।
এবারের বন্যায় কানাইঘাট উপজেলায় পানিবন্দী প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ।