প্রকাশ: ২ জুন, ২০২২ ৫:২৬ : পূর্বাহ্ণ
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে কিশোরীদের ঝুঁকি ও পরিবর্তিত পরিস্থিতি’ শিরোনামে গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে করোনাকালে ২৬ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছেলেরা শারীরিক এবং মেয়েরা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন বেশি।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং জিআইজেড বাংলাদেশ যৌথভাবে গবেষণাটি করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, কম বয়সী কিশোর-কিশোরীরা তুলনামূলক বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ২৭ শতাংশ এবং ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ২৩ শতাংশ সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাইবান্ধা, নড়াইল ও কুমিল্লার ২৬টি উপজেলার ২ হাজার ৭৫৮ পরিবারের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণায় আরও বলা হয়, কোভিডের আগে ৩৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা করে পড়ত। কোভিডে পড়ালেখার হার ১৪ শতাংশ কমে যায়। ৩১ শতাংশ স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। ৩৫ শতাংশের আর পড়ার আগ্রহ নেই। এছাড়া ১৬ শতাংশের পড়ালেখা চালানোর সামর্থ্য নেই। এদিকে মুঠোফোনে পাঠদান চললেও মেয়েরা মুঠোফেনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে, সেই আশঙ্কায় তাদেরকে মুঠোফোন দেয়নি অনেক পরিবার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, সংকট উত্তরণে সরকার, উন্নয়ন অংশীদার এবং সুশীল সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। লিঙ্গ ও আর্থসামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে মানবিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি) এম এম মাহমুদুল্লাহ, ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল, জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের উপপ্রধান ক্যারেন ব্লুম, জিআইজেডের এদেশীয় পরিচালক অ্যাঙ্গেলিকা ফ্লেডারমান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, ব্র্যাকের সাবেক পরিচালক (শিক্ষা) শফিকুল ইসলাম এবং টেরে দেস হোমসের (টিডিএইচ) ক্ল্যারিসার এ দেশীয় সমন্বয়কারী জিনিয়া আফরোজ।