চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ , ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে জন্য মিনিয়াপোলিসের মসজিদে বেড়েছে মুসল্লিদের উপস্থিতি

প্রকাশ: ২ জুন, ২০২২ ৭:০৮ : পূর্বাহ্ণ

মসজিদে লাউড স্পিকার ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্রে মিনিয়াপোলিসের মসজিদে বেড়েছে মুসলিমদের উপস্থিতি। গেল মার্চে লাউড স্পিকারে আজান প্রচারের অনুমতি দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি যেন অন্য ধর্মানুসারীদের বিরক্তির কারণ না হয়- তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করছেন মুসলিম নেতারাও। এমনকি, আজান প্রচারের সময় লাউড স্পিকারের আওয়াজও রাখছেন সীমিত মাত্রায়। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্য ধর্মের অনুসারীরাও।

যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ছোট কিছু এলাকায় স্পিকারে আজান প্রচারের অনুমতি রয়েছে। তবে মিনিয়াপোলিসই প্রথম বড় কোনো শহর যেখানে লাউডস্পিকারে আজানের অনুমতি দেয়া হয়। গেলো মার্চে এই অনুমোদন দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ি সকাল ৭টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত স্পিকারে আজান দেয়া যাবে।

ইসলামিক এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার মুখপাত্র ইউসুফ আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের অধিকারের সাথে আজানও জড়িত। এতদিন ধরে মনে হতো আমরা আমেরিকার নাগরিক হলেও আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।

আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলে জানান, মিনিয়াপোলিসের ধর্মীয় নেতারা। তবে তারা সচেতন, অন্য ধর্মের অনুসারীদের বিষয়েও। স্পিকারে আজানের বিষয়টি যেন অন্য বাসিন্দাদের বিরক্তির উদ্রেক না করে এ বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছেন বলেও জানান ধর্মীয় নেতারা। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে।

মিনিয়াপোলিসের আবু বকর আল সাদিক ইসলামিক সেন্টার ও মোহাম্মদ মোহদার আল হিজরাহ মসজিদের ইমাম মউলিদ আলি জানান, শহর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে অনুমতি দিলেও আমরা চাই আশেপাশের বাসিন্দাদের কাছে বিষয়টি যেন বিরক্তির কারণ না হয়। তাই তাদেরকে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করছি। তাদের বোঝাচ্ছি, স্পিকারে আযানের উদ্দেশ্য কি। শুরুতে বিষয়টি খানিকটা জটিল মনে হতে পারে। তবে আমরা আশা করছি সবাই এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবেন।

শহর কর্তৃপক্ষের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্য ধর্মের অনুসারীরাও। এ ধরনের পদক্ষেপে, যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং পারস্পারিক সমঝোতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

এ ব্যাপারে মিনিয়াপোলিসের সেন্ট পল গির্জার রেভারেন্ড হির‍াল্ড অসোর্তো বলেন, আমরা এই কমিউনিটিতে সবাই একসাথে থাকি। সবাই যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করি। কিছুদিন আগে কমিউনিটির বৈঠকে আমি প্রার্থনা করেছি। এরপর একজন মুসলিমও দোয়া করেন। এভাবে প্রত্যেক ধর্মের সবাই তাদের ধর্ম পালন করেন। এটাই আমাদের কমিউনিটির সৌন্দর্য।

প্রসঙ্গত, মিনিয়াপোলিসে বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ মুসলিমের বাস। শহরটিতে মসজিদ রয়েছে ২০টির মতো।

Print Friendly and PDF