চট্টগ্রাম, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জিবরাইল (আ.) থেকে খবর পেয়ে কাবাঘরের দ্বিতীয় ছাদ তৈরি করেন মহানবী (সা.)

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২২ ৯:২৪ : পূর্বাহ্ণ

আপনি কি জানেন যে পবিত্র কাবাঘরের কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য একটি অতিরিক্ত ছাদ তৈরি করা হয়েছিল। অর্থাৎ কাবাঘরের ভিতরে এবং বাইরে দুটি ছাদ রয়েছে। দুটি ছাদের মধ্যে এক মিটারের মতো ফাঁকা জায়গা রয়েছে।

পবিত্র কাবা সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত একটি চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামো। এটি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে একটি এবং কয়েক শতাব্দী ধরে লাখ লাখ মুসল্লি সেখানে যান হজ ও ওমরাহ পালন করে।

দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন সেন্টার এক প্রতিবেদনে জানায়, যখন কোনো মুসল্লি পবিত্র কাবাঘরে প্রবেশ করেন তখন তার মনে হবে একটিই ছাদ আছে। কিন্তু ছাদের ওপরেও আছে একটি ছাদ।

 

কিন্তু এই ছাদ প্রথম থেকে ছিল না। ৬২২ সালে জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ পাওয়ার পর বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) ও তার অনুসারীরা এই দ্বিতীয় ছাদটি যোগ করেন।

প্রথম ছাদটি কাঠের তৈরি। দ্বিতীয় ছাদটিও কাঠের তৈরি। বার্মা থেকে আনা ৪৯ পিস টিক উড বা সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেটি। দুটি ছাদই বিশেষ আঠা দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে এবং রক্ষণাবেক্ষণের সময় তা সহজেই খুলে ফেলা যায়।

 

ভিতরের ছাদটি ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। একটি বর্ণনা অনুসারে, ১০০ বারেরও বেশি সেটি মেরামত করা হয়েছে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন বিদায় হজ থেকে ফিরে আসেন তখন তিনি দেখতে পান ভেতরের ছাদ থেকে কিছু পাথর খসে পড়েছে। কথিত আছে, তা দেখেই তিনি ছাদটি কাঠ দিয়ে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 

মহানবী (সা.)-এর মৃত্যুর পরে খলিফা উমর ইবনুল আল খাত্তাব কাঠের পরিবর্তে সম্পূর্ণ স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে ছাদটি নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিবছরই এই ছাদটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবছর যখন মক্কায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় তখন ছাদটি মেরামতের কাজ চলে।

 

 

Print Friendly and PDF