প্রকাশ: ৪ জুন, ২০২২ ৯:৪১ : পূর্বাহ্ণ
বৈশ্বিক অর্থনীত নিয়ে টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইলন মাস্কের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ারে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, মাস্ক যখন অর্থনৈতিক মন্দা ও কর্মী ছাঁটাই নিয়ে ভাবছেন, ঠিক তখন অন্যান্য উৎপাদকরা উজ্জীবিত হচ্ছেন। অর্থাৎ সেটা টেসলার সমস্যা, অর্থনীতির নয়।
তিনি বলেন, মাস্ক যখন বৈশ্বিক অর্থনীত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন, একইসময়ে আনন্দের সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ফোর্ড। তারা নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করছে। এতে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে সাবেক ক্রিসলার করপোরেশনের সাফল্যও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, টেক জায়ান্ট ইন্টেলের সাম্প্রতিক উদ্যোগ ২০ হাজার নতুন কম্পিউটার চিপ কর্মসংস্থান হয়েছে।
প্ররিপ্রেক্ষিতে বাইডেন বলেন, সুতরাং, আপনি জানেন, চাঁদে ভ্রমণে বড় ভাগ্য লাগে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ‘বিশ্বব্যাপী সব নিয়োগ বন্ধ করুন’ শিরোনামে টেসলার নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ইমেইলে মাস্ক জানান, অর্থনীতি নিয়ে ‘খুবই খারাপ অনুভব’ করছেন তিনি। তাই টেসলার ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে চান।
দ্রুত বাইডেনের মন্তব্যের জবাব দেন মাস্ক। চাঁদে নভোচারী নিয়ে যেতে মহাকাশযান তৈরি করতে স্পেসএক্সের সঙ্গে ২০২১ সালের এপ্রিলে নাসার ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি উল্লেখ করে ৫০ বছর বয়সী উদ্যোক্তা টুইট করেন, ধন্যবাদ মিস্টার প্রেসিডেন্ট।
এ প্রথম বাগযুদ্ধে জড়ালেন না মাস্ক ও বাইডেন। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি অভিযোগ করেন, টেসলা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন স্বীকার করেন, ‘টেসলা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।’